স্বদেশ ডেস্ক:
বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। পবিত্র হজের মূল অনুষ্ঠানের জন্য আজ শনিবার দুপুরের আগেই আরাফাতের ময়দান ও এর পাশের নির্ধারিত সীমানায় বিশ্বের লাখো হজ পালনকারীরা সমবেত হন।
এই আরাফাতে উপস্থিত না হলে হজ পূর্ণ হয় না। তাই হজে এসে যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ আনা হবে এখানে। ইসলামী রীতি অনুযায়ী, জিলহজ মাসের নবম দিনটি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে ইবাদতে কাটানোই হলো হজ। সেলাইবিহীন দুই টুকরো সাদা কাপড় পরে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারা বিশ্ব থেকে সমবেত মুসলমানরা আজ সেখানে থাকবেন।
লাখো হাজির কণ্ঠে একই সুর- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকালাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই; সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’
সারা দিন আরাফাতে অবস্থানের পর বিকেলে মুসল্লিরা পা বাড়াবেন মিনার পথে। প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন তারা। সেখানেই রাতে খোলা আকাশের নিচে থাকবেন। এটি ওয়াজিব। এ সময়েই তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাথর সংগ্রহ করবেন। সেখান থেকে মিনায় পৌঁছে বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া) গোসল করবেন।
এরপর পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন হাজিরা। এটি হজের আরেকটি ফরজ। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাঈ (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। মিনায় তারা যতদিন থাকবেন ততদিন প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারবেন। সবশেষে কাবা শরিফ বিদায়ী তাওয়াফের (ওয়াজিব) মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।